আমাদের বুদ্ধী যখন এই সিদ্ধান্তে পৌছবে,
একা করলে জ্ঞান বারে
বিদ্যা বাড়ে দুজনে।
এখনে আমরা সেই মানুষিকতার লোকগুলো যোগ হব যারা অন্যকে শিখাতে চায় ।
পাইথনের সাথে সাপুরে বিদ্যার সম্পর্ক আছে তাই বলি ।
আমার গ্রামের এক কবিরাজ আমাকে খুব ভালবাসত, গ্রমের সবাই তাকে দিদু (দিদিমা থেকে দিদু) বলে ডাকত । ঝোপ ঝাড়ে ভরা গ্রাম একটু সাহষের খেলা হলেই সাপের দ্যাখা মিলত । সন্ধার পরেই বাড়িতে ফেরার পথে ভয়ে কুকরে যেতাম এই বুঝি সাপ এসে কামরে দেবে ।
এর থেকে বাচবার উপায় কি? সাপের মুখ বন্ধ করা আমরা গ্রামে বলতাম মুখ খিলান । তো আমরা সাপ দেখলেই সন্ধায় দিধুর কাছে যেতাম মুখ খিলাতে । দিধু এক গামছায় কোনার দিকে মন্ত্র পরে ফু দিয়ে একটা গেরো দিয়ে দিত। নিয়ম হল কালকে ভোর উঠে গেরোটা খুলে দিতে হবে নইলে সাপটা না খেতে পেয়ে মারা যাবে । এখন সাপকে আর ভয় পাই না । সাপকে ব্যাথা দিলেই মুখ খিলান ।
দিধু সাপে কামরালে সেখানে যায় , রোগিকে সারিয়ে আসে আমরা রোগীর সেরে ওঠার গল্প শুনি । আর আমাদের কবিরাজ হওয়ার ইচ্ছা প্রবল হয় । ওবাড়িতেই পোরে আছি দিন রাত । দিধু ও প্রবল ভালবাসা দ্যাখায় । এক দিন বলেই ফেলি দিধু সাপে কাটা রোগি সারান শিখব ।দিধু বলে এই বিদ্য তো দাদু শর্ত ছারা দেওয়া যায় না , আমি বলি আমি যে কোন শর্ত মানতে রাজি আছি । দিধু বলে দাদু ভাই শর্ত কিছুই না এই বিদ্য তোমাকে দেওয়ার পরে তুমি যদি শোন কোন রোগিকে সাপে কেটেছে তোমাকে যেতে হবে। আমি বলি যদি যেতে না পারি, দিধু বলে যদি রোগি মারা যায় তাহলে তোমার উপর তার সমস্ত দ্বায়িত্ব বর্তাবে । আমি দমে যাই আমার আর সাপ তারানোর মন্ত্র শেখা হয় না ।
আমি এখানে এমন একটা পরিবেশ তৈরী করবো যাতে আপনারা সাপতারানোর মন্ত্র শিখতে পারেন শিখাতে পারেন।